দেশে বিভিন্ন সময়ে ভুয়া ডাক্তার ধরতে নানা রকম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ আদালত সহ বিশেষ টিম সমূহ।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদানে ডাক্তারের পরে নার্সদের অবস্থান অনস্বীকার্য।

একজন ডাক্তার যেমন এমবিবিএস পাস করে বিএমডিসি থেকে পেশাগত সনদ না পেলে চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন না এবং বিএমডিসি সনদ ছাড়া তাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ঠিক তেমনি ই একজন নার্স কে নার্সিং পাস করে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে নার্সিং পেশাগত সনদ না থাকলে তিনি ও ভুয়া নার্স হিসেবে গণ্য হবেন।
ভুয়া ডাক্তার যেমন চিকিৎসা সেবার বিষফোঁড়া ঠিক তেমনি ভুয়া নার্স ও চিকিৎসা সেবার অন্তরায়।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক পেশাগত সনদ প্রাপ্ত ছাড়া কোনো ব্যক্তি নার্সিং সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন তবে তা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী ও আইননুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসবে বিবেচিত হবে(বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬)।

তবে আইন থাকলেও এসব ভুয়া ও অবৈধ নার্স নির্মূল এ প্রশাসন পুরোপুরি ই নিশ্চুপ। কার্যত কখনই এসব নিয়ে অভিযান চালাতে দেখা যায়নি প্রশাসন কে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৮২ হাজারের বেশি রেজিস্টার্ড নার্স রয়েছে, অধ্যয়নরত প্রায় ১লাখ শিক্ষার্থী, ভবিষ্যত এ বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ভুয়া নার্স নির্মুল না হলে স্বাস্থ্য সেবা যেমন হুমকির মুখোমুখি হবে ঠিক তেমনি বেকারত্ব গ্রাস করবে এসব অধ্যয়নরত নার্সদের ও।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও নার্সদের বেকারত্ব কমাতে এখন ই এসব ভুয়া নার্স নির্মুলে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি ভেংগে যাবে।